• দুনিয়া
  • Moon Mission: 50 বছর পর চন্দ্র অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার।
mamaearth-mobile-app
Moon Mission: 50 বছর পর চন্দ্র অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার।
article
2 Days ago
দুনিয়া

Moon Mission: 50 বছর পর চন্দ্র অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার।

অ্যাপোলো (Apollo)-এর পর এবার আর্টেমিস (Artemis) চন্দ্রাভিযানে মানব জাতির আর এক ইতিহাস গড়তে চলেছে। গ্রিক পৌরাণিক কাহিনীতে... more

Reading Time

6 Mins

View

790 View

Comment

0 Comment

Publish Date

11 Dec 2022

অ্যাপোলো (Apollo)-এর পর এবার আর্টেমিস (Artemis) চন্দ্রাভিযানে মানব জাতির আর এক ইতিহাস গড়তে চলেছে। গ্রিক পৌরাণিক কাহিনীতে অ্যাপোলোর জমজ বোন আর্টেমিস। 50 বছর পর চন্দ্রাভিযান আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (Nasa)।

 

আজ থেকে প্রায় 5 দশক পূর্বে যখন চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে ছিল সুপার পাওয়ার আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। 1969 থেকে 1972 সালের মধ্যে প্রায় 6 বার চন্দ্রাভিযান করেছে নাসা। এই সময়ের মধ্যে প্রায় 12 জন নভোচারী চাঁদের মাটিতে পা রেখেছেন। সেসময় সবাই ভেবেছিল এক দেশ থেকে থেকে অন্য দেশে যাওয়ার মত করেই পৃথিবী থেকে চাঁদেও পাড়ি দেবে মানব সভ্যতা কিন্তু তা আর হয়নি। 

 

আরও পড়ুন: 2023 সালের G20 সম্মেলনের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে বিদেশমন্ত্রী কাশী পৌঁছেছেন।

 

Apollo 17 মিশনের পর থেকে আর কোন চন্দ্রাভিযান করেনি নাসা। কিন্তু কেন চাঁদে যাবার আর দরকার পড়েনি মানুষের বা হঠাৎ করে চন্দ্রাভিযানের প্রতি এত অনীহা কেন নাসার। তা নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা প্রশ্ন উঠেছে। এর কোন সদ উত্তর নাসার তরফ থেকে কখন লোক সম্মুখে  জানানো যায়নি। প্রসঙ্গত ততকালীন বিশ্ব সুপার পাওয়ার হওয়ার লড়াইয়ে আমেরিকা ও সভিয়েত ইউনিয়ন একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মহাকাশ গবেষণা শুরু করে। অনেকের ধারণা সভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মুন মিশন (Moon Mission)-এর মত এত ব্যয়বহুল কার্যক্রম থেকে সরে আসে নাসান

 

তবে একদল মানুষের প্রশ্ন, এতটা বছর বাদে কেন চাঁদ নিয়ে নাসার ফের এত কৌতূহল। নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আজ থেকে 50 বছর পূর্বে চন্দ্রাভিযান ছিল সামাজিক ও রাজনৈতিক কারনে চাঁদে মানুষের পা রাখার প্রতিযোগিতা। মুলত সোভিয়েতের সাথে মহাকাশ গবেষণার প্রতিযোগিতা। সে প্রতিযোগিতায় এক প্রকার সফল নাসা তথা যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বর্তমানে চন্দ্রাভিযানের লক্ষ্য চাঁদে মানুষের স্থায়ী আবাসস্থল গড়ে তোলা। চাঁদে বিশেষ ষ্টেশন গড়ে তুলে মহাকাশ গবেষনাকে ত্বরান্বিত করাই নাসার উদ্দ্যেশ্য। চাঁদের বুকে ঘাঁটি গড়ে তুলে ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহের অভিযান ও মহাকাশ গবেষনাকে সহজ করে তোলা নাসার উদ্দ্যেশ্য।

 

আরও পড়ুন: ভারতের তেজস যুদ্ধবিমান কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করল ইজিপ্ট।

 

সে পরিকল্পনা মত এই মাসের শুরুতে আর্টেমিস 1 (Artemis 1) নামের এক মুন মিশন করে নাসা। এই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করা। ইতি মধ্যেই নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে আর্টেমিস 1 (Artemis 1) মিশন সফল হয়েছে। নাসার এই মিশন মহাকাশ গবেষণায় এক ঐতিহাসিক সাফল্য বলে মনে করছেন অনেকেই। 

 

আরও পড়ুন: চীনকে 1500 পরমাণু বোমা পাল্টা ভারতের তৈরী হাইড্রোজেন বোমা।

 

এই মিশনের সাফল্য ইলন মাস্কের SpaceX মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ভবিষ্যাত চন্দ্রাভিযান dearMoon project-কে অনেকাংশে সাহায্য করবে। ডিয়ারমুন প্রকল্পটি একটি চন্দ্র পর্যটন মিশন যা জাপানি বিলিয়নেয়ার ইউসাকু মায়েজাওয়া (Yusaku Maezawa) দ্বারা কল্পনা করা এবং অর্থায়ন করা হয়েছে। এই মিশনটি SpaceX-এর Starship রকেটের দ্বারা করা হবে। এই মিশনের (dearMoon ) সাফল্যের পরপরই আগামী 50 বছরের মধ্যে মহাকাশে মহাকাশচারী ছাড়াও যে কেউই মাহাকাশে পাড়ি দিতে পারবে।

 

 


Share this article :

mamaearth-mobile-app