শ্রম ছাড়া কোন কিছুর উন্নতি হয় না।

গত কয়েক বছর যাবত গোটা বিশ্ব জুড়ে একের পর দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। আবার কোথাও কোথাও যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমান বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পৃথিবীর সামরিক শক্তিধর দেশগুলি দুই দলে বিভাক্ত হয়ে পড়ছে। 

এমতাবস্থায় যে সময় পরিস্থিতি বিশ্বযুদ্ধের আকার নিতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমানবিক অস্ত্র মজুত রাখা রাশিয়া যে নিজেদের পারমানবিক বোমা ব্যবহার করবে না এর কোন নিশ্চয়তা নেই। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় দুই বছরের অধিক সময় কেটে গেলেও এই যুদ্ধে রাশিয়া এখন পর্যন্ত কেন পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আর্ন্তজাতিক মহলে। 

সাম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর খঁজে পেয়েছে আমেরিকান মিডিয়া CNN, তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধকে পারমানবিক যুদ্ধে পরিনত হওয়া থেকে বঞ্চিত রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছেন।

যদি প্রধানমন্ত্রী মোদী রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতার ভূমিকা না রাখতেন তাহলে হয়ত হিরোশিমা-নাগাসাকির মত শ্বশানে পরিনত হত। মোদী রুশ রাষ্ট্রপতি পুতিনকে যদি না রুখতে পারতেন তবে আজ দুনিয়ার মানচিত্র থেকে ইউক্রেনের নাম চিরতরে মুছে যেত। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় দু বছর কেটে যাবার পর দুনিয়া সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র ও ইউক্রেনের রক্ষাকবচ খোদ আমেরিকার সংবাদমাধ্যম এই মন্তব্য করেছে।

এছাড়াও একথা অনেকে অজানা নয়, যে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদী রুশ রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে যুদ্ধ থামানোর জন্য আবেদন জানান। ভারত ও রুশ সুসম্পর্ক ইউক্রেনের যুদ্ধকে পারমানবিক যুদ্ধে রূপান্তরকে বাঁধা দিয়েছে। ইউক্রেন হামলা রুখার জন্য ভারত, তুর্কি, চীনের মত দেশ গুলিকে পুতিনের সাথে আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছিল আন্তর্জাতিক মহল। তবে এই দিক দিয়ে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছুটা হলেও সফল এমটা দাবি আন্তর্জাতিক মিডিয়ার।